Thursday, 17 July, 2025
Logo
বিজ্ঞাপন
যাবতীয় রড, সিমেন্ট, ইট, বালি ও কনা পাইকারি ও খুচরা বিক্রয় করা হয় ।। যোগাযোগ- মেসার্স হোসেন ব্রাদার্স/ জাকের ট্রেডার্স।। সোবান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড, সিনেমা হলের পাশে, দাগনভুইয়া, ফেনী। প্রোপ্রাইটর জাকের হোসেন আলমগীর ০১৭১১-৯৬২৯২৫।। ০১৮৭১-৯৩০০০৮ মেসার্স কে আহাম্মদ এন্ড সন্স! পরিবেশক,বি এম, ডেল্টা ও ইউনি এল পি গ্যাস! যোগাযোগ- বসুরহাট রোড, সিনেমা হলের সামনে, দাগনভুইয়া, ফেনী- ০১৭১১-৩০৪৮৭৩, ০১৮৩৯-৩৯৭১৩০! দাগনভুইয়া ফিজিওথেরাপী সেন্টার, একটি আধুনিক বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস ও মুখ বাঁকা চিকিৎসা কেন্দ্র। ঠিকানা- সোবহান মঞ্জিল, বসুর হাট রোড। (সাবেক ঝর্না সিনেমা হলের পাশে)। দাগনভুইয়া, ফেনী। 01818-019684, 01721-910110

ফুলগাজীর কাওমী মাদ্রাসার ছাত্রের সাথে অনৈতিক কর্মকাণ্ডে অভিযুক্ত শিক্ষক ইব্রাহিম পলাতক

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে


ছবি - সংগৃহীত

ফেনীর ফুলগাজী উপজেলার মুন্সিরহাট দারুল উলুম মাদ্রাসায় ১৩ বছর বয়সী এক কিশোর ছাত্রের উপর বলৎকারের অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে।

ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শিক্ষক পলাতক রয়েছেন।

এ ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে ফুলগাজী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ৩ জুলাই মুন্সিরহাট দারুল উলুম মাদ্রাসায় দায়িত্ব পালনরত শিক্ষক হাফেজ ইব্রাহিম (৪৩), ভিকটিমকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে তার উপর বলৎকারের ঘটনা ঘটান।

ভিকটিমের মা জানায়, থানায় অভিযোগের পূর্বে আমরা মাদ্রাসার মুহতামিম নুরুল ইসলামের নিকট  অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার দাবী করি, কিন্তু তিনি ঘটনা দামাচাপা দেয়ার জন্য আমাদেরকে ফেনীতে ডাকে এবং কাউকে না জানানোর জন্য অনুরোধ করেছেন।

একপর্যায় মুহতামিমের সাথে কথা বলতে বলতে সুকৌশলে পালিয়ে যায় অভিযুক্ত ইব্রাহিম। পরবর্তীতে  আমরা থানায় অভিযুক্তকে সহযোগিতা ও এতো বড় জঘন্য ঘটনা দামাচাপা দেয়ার দায়ে মুহতামিমের ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ করতে চাইলে প্রশাসন তা গ্রহন করেনি।

এক ছাত্র প্রতিনিধি জানায়, মুহতামিম নুরুল ইসলাম হেলালী অতীতে ও এ ধরনের ঘটনা দামাচাপা দিতে আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে ঘনিষ্ঠতা বজায় রাখত। এ ঘটনায় এলাকায় চরম ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

সোস্যাল মিডিয়া ভিডিও সহ ভাইরাল হলে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাহারিয়া ইসলাম  জানান অভিযুক্ত মাদ্রাসার শিক্ষকের উক্ত ঘটনায় তদন্ত সাপেক্ষে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ফুলগাজী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ লুৎফর রহমান বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতারে অভিযান চলছে বলে ও তিনি জানিয়েছেন। ভিকটিম পরিবারের সদস্যরা দ্রুত বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

স্থানীয়রা বলছেন, ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে নজরদারির অবহেলার কারণে এমন ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কঠোর হস্তক্ষেপ না হলে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে পড়বে।

Share

আরো খবর


সর্বাধিক পঠিত